গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা? তাহলে এড়িয়ে চলুন এই খাবারগুলি

আজ বাংলা: বর্তমানে মারণ করোনার থাবায় জর্জরিত গোটা বিশ্ব। এরকম অবস্থায় নিজেকে সুস্থ রাখা বলতে গেলে চ্যালেঞ্জের কথা। কারোর গলা-বুক জ্বালা, কারোর চোঁয়া ঢেকুর, কারও আবার পেট ফাঁপা, গ্যাসের সমস্যা।
এদিকে এর থেকে মুক্তি পেতে প্রায় সবারই ভরসা অ্যান্টাসিড। একটানা ওষুধ খেয়ে গেলে যে শরীরে অন্য কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, তার তোয়াক্কাই করেন না কেউ কেউ। তবে কথায় কথায় গ্যাস অম্বলের সমস্যা আর মুঠো মুঠো নিজের মতে ওষুধ খেয়ে তার সমাধান মোটেই ভালো অভ্যাস নয়।
রোজকার জীবনধারায় সামান্য পরিবর্তন এবং খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার সংযোজন করলেই নিত্যদিনের এই সমস্যা থেকে স্বস্তি পেতে পারেন। হা শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আসুন তাহলে জেনে নিন কী কী খাবেন না।
মুলো: মুলো হল শীতকালীন সবজি। তবে অন্যান্য সময়েও দেশের নানা প্রান্তে পাওয়া যায় এই সবজি। এই সময়টায় মুলোর নানা তরকারি, স্যালাড বা মুলোর পরোটা-সহ একাধিক পদ পছন্দ করেন মানুষজন। কিন্তু সাবধান!
মুলো গ্যাসট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। পেট ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়া একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই যদিও অল্পবিস্তর মুলোর তরকারি খান, তা হলে খাওয়ার পর একটু জোয়ানের জল বা পুদিনা খেতে পারেন।
কাবুলি ছোলা: যাঁরা হজমের সমস্যা বা গ্যাস্ট্রিকে ভুগছেন, তাঁদের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয় এই ছোলা। যাঁরা কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা এই ধরনের ছোলা থেকে দূরে থাকুন।
রাজমা : রাজমা চাওয়ালের নাম শুনলেই জিভে জল আসে আমাদের। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও একাধিক সমস্যা আছে। বিশেষ করে যাঁরা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বড় ছোলার মতো রাজমাও বিপজ্জনক। যতটা পারবেন রাজমা এড়িয়ে চলুন।
টারো রুট: টারো রুট বা আরবি অনেকেই পছন্দ করেন এই সবজি। কারি বা অন্য কোনও তরকারি বানিয়ে খান। ডালের সঙ্গে এই সবজির তরকারি দারুণ জমে। কিন্তু সাবধান! যাঁদের গ্যাসের সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য বিপদ করতে পারে আরবি। এটি পেটের সমস্যার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বাড়িয়ে দেয়।
এঁচড়: সাধারণ এঁচড় বা ইঁচড় নামেই পরিচিত। পাকা অবস্থায় ফল হিসেবে খাওয়া হলেও, কাঁচা কাঁঠাল সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অনেকে আবার একে নিরামিষভোজীদের নন-ভেজ আইটেম বলেও ডাকেন।
বাঙালি ঘরে পাতে ইঁচড়ের ঝোল থাকলে লোভ সামলানো মুশকিল হয়ে যায়। এই সবজি পুষ্টিকর হলেও গ্যাস্ট্রিকের রোগীদের জন্য একেবারেই ভালো নয়।
এর পাশাপাশি পাকস্থলীর গ্যাসট্রিক গ্ল্যান্ডে অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণের ফলে অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা হয়। সাধারণত অনেকক্ষণ খালি পেটে খাকলে, অতিরিক্ত চা,কফি পান করলে, মশলাযুক্ত ও ভাজাভুজি খাবার বেশি খেলে, খাওয়ার অনিয়ম হলে, রাতের খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস থাকলে, অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূমপান, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা ইত্যাদি কারণে পেটে গ্যাস হতে পারে।
গ্যাস, অম্বলের কারণেই পেট ফুলে ওঠে, ঢেকুর ওঠে, বুক জ্বালা করে ও পেটের অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া রাতে খাওয়ার অন্তত এক থেকে দু’ ঘণ্টা পর ঘুমোতে যান।