আজবাংলা কাশ্মীরে সরকার গঠনের জন্য তত্পরতা শুরু হয়েছিল। পিডিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেস জোট বেঁধেছিল সরকার গড়তে। ৮৭ সদস্যের বিধানসভায় এই তিন দলের বিধায়ক ৫৫। এর আগে বিজেপির ২৬ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানিয়েছিলেন পিপলস কনফারেন্সের নেতা সাজ্জাদ লোন। এরপরই পিডিপি জোটের নেত্রী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে রাজভবনে ফ্যাক্স করেন। কিন্তু তাঁর ফ্যাক্স গ্রহণ করার আগেই বুধবার রাতে রাজ্যপাল বিধানসভা ভেঙে দেন। কাশ্মীরে গত ১৯ জুন থেকে রাজ্যপাল শাসন চলছে। এদিকে, আগামী ১৮ ডিসেম্বর উপত্যকায় রাজ্যপাল শাসনের মেয়াদ শেষ হলেয় তার পরেই হয়ে জেত রাষ্ট্রপতি শাসন। তার আগেই সরকার গড়ার মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, কাশ্মীরে ‘গেরুয়া জুজু’ দেখছেন মুফতি-আবদুল্লারা। ফলে বাঘে গরুতে একঘাটে জল খাওয়ার মতোই হাত মিলিয়েছেন তাঁরা। আর বিজেপিকে ঠেকাতে মুফতিতে অরুচি নেই কংগ্রেসের।বুধবার গোটা দিনের নাটকে মূল্য আলোচ্য বিষয় ছিল জম্মুতে রাজভবনের ফ্যাক্স মেশিন। বুধবার সন্ধ্যার পর জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি সরকার গঠনের চিঠি টুইটারে পোস্ট করে লেখেন, ‘চিঠিটা রাজভবনের পাঠানোর চেষ্টা করছি। অদ্ভূতভাবে ফ্যাক্স মেশিন কাজ করছে না। রাজ্যপালের সঙ্গেও ফোনেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।’ এরপরই সাজ্জাদ লোনও চিঠি দেন রাজ্যপালকে। তাঁর দাবি, বিজেপির ২৬ জন বিধায়কের পাশাপাশি আরও ১৮ জনের সমর্থন রয়েছে তাঁর সঙ্গে। এই দুই দাবির প্রেক্ষিতে বিধানসভা ভেঙে দেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক।