দল ছাড়ার পথে ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি-সহ বেশ কয়েকজন

শুরুতেই ধাক্কা। নতুন স্টিয়ারিং কমিটি নিয়ে ক্ষোভ। দল ছাড়ার পথে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি-সহ বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ। তাঁদের অভিযোগ, নতুন যে কমিটি তৈরি করা হয়েছে সেখানে বিজেপি থেকে দলে আসা লোকদেরকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বাদ গেছেন দলের পুরনো সৈনিকরা। ফলে তৃণমূল সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে হবে।
ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিং বৃহস্পতিবার বলেন, 'এই স্টিয়ারিং কমিটিতে যত জনকে নেওয়া হয়েছে তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জন আছেন যাঁরা বিজেপির এজেন্ট। এঁদের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি নতুন এই কমিটি দেখে এটাও মনে হয়েছে দলে হয়তো আমাদের মতো লোকদের প্রয়োজন ফুরিয়েছে। ফলে সব কিছু মিলিয়েই অন্য রকম ভাবছি।' তাঁর কথায়, 'এই মুহুর্তে ত্রিপুরায় তৃণমূল খুব ভালো অবস্থায় নেই।
প্রসঙ্গত ২০১৭ থেকে চলতি বছরের কিছুটা সময় পর্যন্ত আশিসলাল ত্রিপুরায় তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। বুধবার ত্রিপুরার জন্য দু'টি স্টিয়ারিং কমিটির কথা ঘোষণা করে তৃণমূল। রাজ্যের জন্য যে কমিটিটি তৈরি করা হয়েছে সেই কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৯ জন। কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন সুবল ভৌমিক।
তিনি বিজেপি ছাড়াও একসময় কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কমিটিতে আছেন সুস্মিতা দেব, আশিসলাল সিং-সহ অন্যান্যরা। অন্যদিকে ১১ জন সদস্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ত্রিপুরার যুব কমিটি। এই কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন বাপ্টু চক্রবর্তী। তিনি কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। ত্রিপুরায় এই অসন্তোষ নিয়ে বিধায়ক ও পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, 'দল যখন একটা কমিটি গঠন করেছে তখন নিশ্চয় কিছু একটা চিন্তা করেই করেছে।
কারও কোনও ক্ষোভ থাকলে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি সেটা জানাতে পারেন।' রাজ্যসভার সাংসদ এবং নতুন স্টিয়ারি কমিটির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড সুষ্মিতা দেব বলেন, 'এটা তো প্রদেশ কমিটি নয়। স্টিয়ারি কমিটি। আর সেইসঙ্গে আরও একটা কথা বলতে চাই, আমাদের সকলকেই একসাথে কাজ করতে হবে।'