সোমড়াবাজারের প্রাচীন জগদ্ধাত্রী মন্দির, মহাবিদ্যা নামে পূজিতা মা জগদ্ধাত্রী

সোমড়াবাজারের প্রাচীন জগদ্ধাত্রী মন্দির, মহাবিদ্যা নামে পূজিতা মা জগদ্ধাত্রী

আজবাংলা    শিয়ালদা কিংবা হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল হয়ে কাটোয়া রেলপথে সোমড়াবাজার রেল স্টেশন। সোমড়া গ্রামে ঢুকলেই আঁকাবাঁকা বাঁধানো পিচের রাস্তা | স্টেশন থেকে ভ্যান বা টোটো করে যেতে হয় সোমড়া গ্রামে | স্টেশন থেকে খুব বেশি হলে ৫ থেকে ৭ মিনিট | সেখানেই বিরাজ করছেন মা জগদ্ধাত্রী | 

জানা যায়, প্রায় সাড়ে আটশো বছরের প্রচীন মা জগদ্ধাত্রীর এই মন্দির | গ্রামবাসী দাবি করেন, তাদের গ্রামের মা জগদ্ধাত্রী হলেন বাংলার আদি পুজো | বছরভর পুজো হলেও, জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমীতে অষ্টধাতুর মূর্তিতে ষোড়সপচারে পুজোর আয়োজন | ইতিহাস বলে, ইংরেজির ১১৭২ সালে সোমড়া গ্রামে মায়ের মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন দেওয়ান রামশঙ্কর রায় | মন্দির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন পাল যূগের শেষদিকে বাংলা, বিহার, ওড়িশার দেওয়ান | আর সেই সময় গড়ে ওঠে মা জগদ্ধাত্রীর এই মন্দির | 

গ্রামবাসী থেকে বহু মানুষ আজও দাবি করেন সোমড়া গ্রামের মায়ের এই মন্দির হল বাংলার আদি জগদ্ধাত্রী মন্দির | এই মন্দিরে মা জগদ্ধাত্রী পূজিতা হন মহাবিদ্যা নামে | নবরত্ন বা ন'টি কোন বিশিষ্ট মন্দির জুড়ে দক্ষিণ ভারতীয় শৈলি | মন্দিরের গায়ে টেরাকোটার তৈরি তেত্রিশ কোটি দেবতার মূর্তি | কিছু বছর আগে এই মন্দির ধ্বংসের পথে চলে গিয়েছিল | তবে বর্তমানে আসতে আসতে আবার নতুন করে গড়ে উঠছে এই প্রাচীন মন্দির | 

গ্রামের এক পুরোহিত এসে নিয়মিত ওই  মন্দিরে পুজো অর্চনা করেন | তবে নিত্যপুজো হলেও বিশেষ করে জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমীতে জাঁকজমক করে আয়োজন করা হয় মায়ের পুজো | পরিবারের কয়েকজন এসে উপস্থিত হন সেই সময় | একই দিনে হয় সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী পুজো | বৈষ্ণব মতে পুজো তাই মায়ের পুজোর সময় কোনও বলি হয়না | একেক প্রহরে একেক পুজোর রীতি | বাংলার আদি জগদ্ধাত্রী পুজোয় মহাদেবের ভোগ হিসাবে থাকে সাদাভাত, ঘি, আলুসেদ্ধ ও সন্দক লবণ | গ্রামবাসীরা এসেও উপস্থিত হন নবমীর মায়ের পুজোয় |