ইউক্রেনে আটকে শিলিগুড়ির দুই ডাক্তারি পড়ুয়া!

ইউক্রেনে আটকে শিলিগুড়ির দুই ডাক্তারি পড়ুয়া!

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছে পুতিনের রাশিয়া (War in Ukraine)। ইউক্রেনের বিভিন্ন অংশে শোনা যাচ্ছে কামানের আওয়াজ। বারুদের গন্ধ। আতঙ্কে ইউক্রেনবাসী। আতঙ্কে বহু ভারতীয়ও। এখানকার বহু ছাত্র, ছাত্রী ডাক্তারি পড়তে গিয়েছেন ইউক্রেনে। গত কয়েকদিন ধরেই যুদ্ধের (War in Ukraine) একটা আবহ তৈরি হচ্ছিল। তখন থেকেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে পড়ুয়াদের পরিবারকে।

এমনই আতঙ্কে শিলিগুড়ির কয়েকটি পরিবার। যেমন বছর দুয়েক আগে ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে যান শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার প্রীতম মালাকার। ক্লাস হচ্ছে নিয়মিত। গতকালও ক্লাস করেছেন তিনি। ওখানেই এক আফ্রিকান বন্ধুর সঙ্গে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকেন তিনি। আজ যুদ্ধ (War in Ukraine) শুরু হতেই ঘরবন্দি হয়েছেন প্রীতম। খবর পেয়েই তাঁর বাবা ভিডিও কল করেন।

কথাও হয় অনেক্ষন। ভালোই আছেন প্রীতম। তবু আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না মালাকার পরিবারের। কথা বলতে বলতে চোখে জল প্রীতমের বাবা ও মায়ের! কীভাবে ছেলেকে দেশে ফিরিয়ে আনবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। যুদ্ধের আবহ তৈরী হওয়ার পরও কেন কেন্দ্রীয় সরকার সেদেশের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফিরিয়ে আনেনি সেটাই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

দুশ্চিন্তার কালো মেঘ মালাকার পরিবারে। ঘন ঘন ছেলেকে ফোন করছেন বাবা পীযূষকান্তি মালাকার। তাঁরা চান দ্রুত ছেলে সহ আটকে থাকা অন্য ভারতীয়দের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক কেন্দ্রীয় সরকার। এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে তাঁদের সঙ্গে কেউই যোগাযোগ করেননি বলে জানান আটকে থাকা ভারতীয়দের পরিবার। প্রীতমেরই এক বন্ধু শিলিগুড়ির ছাত্রও আটকে ইউক্রেনে।  

অন্যদিকে আজই শিলিগুড়িতে নিজের ঘরে ফিরলেন আর এক ডাক্তারি পড়ুয়া বিতান বসু। শিলিগুড়ির ইস্টার্ন বাইপাসের আবাসনে ফিরেছেন বিকেলে। স্বস্তির নিঃশ্বাস পরিবারে। তার সঙ্গেই ইউক্রেন থেকে চার্টার্ড বিমানে দেশে ফিরেছে শিলিগুড়িরই দুই ছাত্রী। তবে তাঁরা এখন দিল্লিতে রয়েছে। বিতান বলছিল, বেশ কয়েকদিন ধরেই যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি হচ্ছিল। আর তাই বাড়ি ফিরে আসা। স্বস্তিতে তাঁর বাবা, মা সহ অন্যরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই।