ফের এক অলৌকিক কাণ্ডের সাক্ষী থাকবেন বিশ্ববাসী, বছরের শেষে দেখবেন ‘কোল্ড মুন’!

ফের এক অলৌকিক কাণ্ডের সাক্ষী থাকবেন বিশ্ববাসী, বছরের শেষে দেখবেন ‘কোল্ড মুন’!

আজ বাংলা: ফের এক অলৌকিক কাণ্ডের সাক্ষী থাকবেন বিশ্ববাসী। দেখতে পাবেন কোল্ড মুন। বছরের একদম শেষ পূর্ণিমা। তিথি অনুযায়ী পূর্ণিমা থাকবে আগামীকাল পর্যন্ত। আর এই সময়েই বিশ্ববাসী সাক্ষী থাকবেন ‘কোল্ড মুন’-এর।


 ২০২০ সাল এমনিতেই ঘটনাবহুল বছর। একের পর এক মহাজাগতিক ঘটনা ঘটেছে এই বছর। একইসঙ্গে দেখা গিয়েছে সূর্য এবং চন্দ্রগ্রহণ।

সদ্যই দেখা গিয়েছে সৌরমন্ডলের সবচেয়ে বড় দুই গ্রহ বৃহস্পতি এবং শনির মহামিলন বা গ্রেট কনজাংশন। এবার পালা ‘কোল্ড মুন’-এর।

জানুন কী এই ‘কোল্ড মুন’?

বছরের শেষ পূর্ণিমার দিন যে চাঁদ দেখা যায় জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় তাকেই বলে ‘কোল্ড মুন’। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে এই ‘কোল্ড মুন’ চলতি বছরের ১৩তম এবং শেষ চন্দ্রজনিত মহাজাগতিক ঘটনা। জর্জিয়ান বছর অনুসারে এই ঘটনাকে বলা হচ্ছে ‘হায়েস্ট ফুল মুন’, যা দু’দিন ধরে দেখা যাবে। 

ভারতীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৫৪মিনিটে সবচেয়ে স্পষ্ট ভাবে দেখা যায় ‘কোল্ড মুন’। আর আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যা ৮টা ৫৭মিনিটে সবচেয়ে স্পষ্ট ভাবে দেখা যাবে এই চাঁদ। জানা গিয়েছে, আগামীকাল সূর্যাস্তের ঠিক আগেই আকাশে ‘কোল্ড মুন’ চিহ্নিত করা যাবে। 


প্রসঙ্গত, গোধূলিবেলাই এই ‘কোল্ড মুন’ প্রত্যক্ষ করার সেরা সময়। সেই সময় পশ্চিমদিকে সূর্য অস্ত যাবে আর পূর্ব আকাশে চাঁদ উঠবে।

 ‘কোল্ড মুন’-এর বিশেষত্ব সম্বন্ধে জানুন...

হরাইজনের উপর এবার সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দেখা যাবে এই ‘কোল্ড মুন’। আমেরিকায় একে ‘লং নাইট মুন’-ও বলা হয়ে থাকে। বছরের অন্যতম দীর্ঘতম রাতে এই ঘটনা ঘটে থাকে। আর মূলত winter solstice-এর পরই এই মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হওয়া সম্ভব হয়। 

ক্রিসমাসের ঠিক পরই এই ঘটনা ঘটে বলে একে ইউরোপে বলা হয় ‘Moon After Yule’। এ বিষয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বছরের শেষে দীর্ঘতম রাতে এই পূর্ণিমা দেখা যায়। তখন সেই চাঁদকে ‘লং নাইটস মুন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

শোনা যায়, ‘কোল্ড মুন’ নাম এসেছে নেটিভ আমেরিকানদের কিছু রীতিনীতি থেকে। প্রবাদে বলা হয় এই ‘কোল্ড মুন’ আসলে বছরের হিমশীতল অবস্থাকে বোঝায়। ২৯ এবং ৩০ ডিসেম্বর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখা যাবে এই ‘কোল্ড মুন’।

২৯ তারিখ অর্থাৎ আজ দেখা যাবে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে। আর আগামীকাল স্পষ্ট ভাবে ‘কোল্ড মুন’ প্রত্যক্ষ করা যাবে এশিয়া, ইউরোপ এবং আফ্রিকা থেকে। ভারতে আগামীকাল দেখা যাবে এই ‘কোল্ড মুন’।