কাগজের কাপে চা-কফি পান করছেন? সাবধান! ডেকে আনছেন মহাবিপদ

আজ বাংলা: বর্তমান সময়ে এই করোনা আবহে কোনো রেস্তোরাঁ বা হোটেলে কাপ প্লেটের চল উঠে গিয়েছে। এদিকে ভরসা বলতে কাগজের কাপ। প্লাস্টিকের দূষণ থেকে মুক্তি থেকে কাগজের কাপ আগেই শুরু হয়েছিল।
তবে এতদিন যা নিরাপদ ভাবা হচ্ছিল তা আদতে মারাত্মক বিষ! বিষণ্ণতা কমাতে, আড্ডায়, চা-কফির কোনো বিকল্প নেই। তবে এই চা বা কফি পানের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। সবার আগে দেখতে হবে কোন কাপে চা পান করছেন।
কাপটি যদি কাগজের কিংবা প্লাস্টিকের হয় তবে ভুলেও এই কাপে চা পান করবেন না।
রাস্তার ধারের কোনও দোকানে দাঁড়িয়ে চা-কফি খাওয়া মানেই হলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কাগজ কিংবা প্লাস্টিকের কাপে খাওয়া। এসব অভ্যাস ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কাগজ ও প্লাস্টিকের কাপে চা খাওয়া শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতি, কারণ হিসেবে তারা বলছে, গরম চায়ের তাপমাত্রার কারণে সরাসরি মানুষে পেটে টুকছে হাজার হাজার প্লাস্টিকের কণা।
গবেষণায় আরও উঠে এসেছে যে, কাগজের কাপ তৈরিতে হাইড্রোফোবিক ফিল্ম ব্যবহার করা হয়। কাগজের কাপে গরম চা পড়ার পর সেই হাইড্রোফোবিক ফিল্ম গলতে শুরু করে। এরপরই প্লাস্টিকের কণা চায়ে মিশতে শুরু করে।
সম্প্রতি ভারতের আইআইটি খড়গপুরে হওয়া এক গবেষণায় এমন আতঙ্কের তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় আরও বলা হয়, প্লাস্টিকের কাপে কেউ দিনে তিনবার চা পান করলে তার শরীরে ৭৫ হাজার মাইক্রোন প্লাস্টিকের কণা প্রবেশ করে।
তাদের মতে, কাগজের কাপে ১০ মিনিট গরম চা থাকলেই প্লাস্টিকের কণা মিশতে শুরু করে। গরম পানি কিংবা চা, কোনও কিছুই কাগজের কাপে খাওয়া উচিত নয়। গবেষকরা দুটি পৃথক পদ্ধতিতে এই গবেষণা করেন। তারপরই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন।
এই ঘটনা দেখার পর গবেষকদের বক্তব্য, যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই তার সব কিছু বিশ্লেষণ প্রয়োজন। কারণ, প্লাস্টিকের দূষণ থেকে বাঁচতে কাগজের কাপের ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়েছিল।
এখন দেখা যাচ্ছে, কাগজের কাপও বিপজ্জনক। তাই শুধু পরিবেশবান্ধব দেখলেই হবে না, তা মানুষের শরীরের পক্ষে তটা উপযোগী, সেটাও দেখতে হবে।