গিরিডির দর্শনীয় স্থান

গিরিডির দর্শনীয় স্থান

অফিসে কাজের চাপে খুব বেশি দিন ছুটি নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার অবকাশ নেই। ক্লান্তি কাটাতে কলকাতার আশপাশেই কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? আপনার পছন্দের তালিকায় থাকতেই পারে Giridih গিরিডি। কালোসোনার জোরেই ঘুরছে গোটা বিশ্বের চাকা। আর এই কালোসোনার এক বৃহৎ উৎস গিরিডি। ঝাড়খণ্ডের রাজ্যের এই জেলা আজ পরিচিত এই খনিজ পদার্থের সূত্রেই।

গিরিডি কথার অর্থ পাথরের ভূমি। ছোট-বড় অসংখ্য কয়লাখনি আছে ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলায়। চারদিকে পাহাড়ে ঘেরা এই জেলার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবেন আপনিও। শহরের ভিড় থেকে দূরে খানিকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে চাইলে গিরিডি হতেই পারে আপনার পছন্দের ঠিকানা। গিরিডিতে গিয়ে কোথায় সময় কাটাতে পারেন রইল তারই হদিশ। 

উস্রী জলপ্রপাত:  সত্যজিত্ রায়ের অন্যতম সৃষ্টি প্রফেসর শংকুর বাড়ি ছিল এই গিরিডিতেই। তা ছাড়াও লেখকের অজস্র লেখনি এই ঝর্নার পাশে বসেই। গিরিডি স্টেশন থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে এই ঝর্নার। পৌঁছতে আধ ঘণ্টা মতো সময় লাগে। শান্ত নদীর জল ৪০ ফুট উঁচু পাহাড়ের ঢাল বেয়ে তিনটি ধারায় পড়ছে। চারদিকে ঘন জঙ্গল। দেখার মতো পরিবেশ। 

 পরশনাথ পাহাড়:   সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ৪৮০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত ঝাড়খণ্ডের সর্বোচ্চ পাহাড় পরশনাথ। এই পাহাড়ের মাথায় রয়েছে পরশনাথ মন্দির। জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই মন্দিরটি একটি অত্যন্ত পবিত্র তীর্থস্থান। জৈন ধর্মের ২৪ জন তীর্থঙ্করের মধ্যে ২৩ জন তীর্থঙ্কর নাকি এই স্থানে এসেই সিদ্ধিলাভ করেন। তাঁরই নাম অনুসারে এই পাহাড়ের নাম হয় পরশনাথ পাহাড়। পরশনাথ মন্দির থেকে একটি পথ নেমেছে সীতানালায়। মনে করা হয়, বনবাসের পথে রাম ও সীতা এখানে বিশ্রাম নিয়েছিলেন। ট্রেকিংয়ের শখ থাকলে এই পাহাড় আপনার জন্য আদর্শ।

 রানি সতী মন্দির: উস্রী জলপ্রপাতের কাছাকাছেই রানি সতী মন্দির অবস্থিত। ভক্তরা, যাঁরা পরশনাথ পাহাড়ের চূড়ায় জৈন মন্দির পরিদর্শন করতে আসেন, তাঁরা এই মন্দিরেও যেতে ভোলেন না। খুব বড় মন্দির না হলেও স্থানীয়দের মতে এই মন্দির অনেক জাগ্রত।