বৃহস্পতিবার এই ভাবে ঘট পেতে পাঁচালি পড়লে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন মা লক্ষ্মী

আজবাংলা প্রতি বৃহস্পতিবার অর্থাৎ লক্ষ্মীবার প্রতিটি গৃহস্থে লক্ষীপুজো হয়েই থাকে | সকালবেলায় অনেকে পুজো করে থাকেন সাধারণ ভাবেই | জল মিষ্টি, ফল-ফুল দিয়েই অনেক সকালে লক্ষ্মীর ঘট পেতে সন্ধেবেলা পাঁচালি পড়ে থাকেন |অনেকে আবার ঘট পাতেন সন্ধেবেলাতেই, তারপরেই মা লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়ে থাকেন | বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলায় প্রতিটি গৃহস্থে গৃহবধূরা মা লক্ষ্মীর পুজোর সঙ্গে সঙ্গে পড়ে থাকেন লক্ষ্মীর পাঁচালিও |
মা লক্ষীর এই পাঁচালি পড়লে সংসারে শান্তি আসবে, মা লক্ষ্মীর কৃপার বাড়বে ঐশ্বর্য, স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা হবে ঠিকঠাক, মিলবে মত | সন্তানের উপর মা লক্ষ্মীর কৃপা থাকলে জীবনে তাঁরা দুঃখ কষ্টের মুখোমুখি হবেনা |অনেকে আবার ঘট পাতেন সন্ধেবেলাতেই, তারপরেই মা লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়ে থাকেন | লক্ষ্মীর ঘট জলপূর্ণ তাতে একটি গোটা আমপল্লব ও সিন্দুর দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন এেঁকে ধান ও দূব্বা দিয়ে স্থাপন করতে হয় ৷
তবে লক্মীপুজোয় ভুল করে কখনও তুলসি পাতা ব্যবহার করবেন না | বেলপাতাতেই মা লক্ষ্মীর পুজো সম্পন্ন হয় থাকে | পুরাণ মতে তুলসি হলেন মা লক্ষ্মীর সতীন | তাই দুই সতীনে চুলোচুলি হবে বলেই লক্ষ্মীপুজোয় কখনই তুলসি পাতা প্রয়োজন হয়না |মা লক্ষ্মীর কৃপায় সংসারের শ্রী ক্রমশই বৃদ্ধি হয় | তিনি দয়াময়ী মা | সন্তানের প্রতি মায়ের অপার দয়ায় জীবন আরও সুন্দর হয়ে ওঠে | গৃহস্থের সুখ সমৃদ্ধির কারণেই মা লক্ষ্মীর বন্দনা করা হয়ে থাকে ৷ |মা লক্ষ্মীর কৃপায় বাড়ে ধনসম্পত্তি | সংসারে শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠাই মায়ের একমাত্র উদ্দেশ্য | মা লক্ষ্মী কখনই তাঁর সন্তানকে বিপদে দেখে চুপ করে বসে থাকেন না |