উত্তরপ্রদেশ দুর্ঘটনায় মৃত মালদার শ্রমিক পরিবার কে আর্থিক সাহায্য দিল রাজ্যে সরকার

করোনা কালে যোগীরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন মালদহের (Maldah) দু'জন শ্রমিক। আহতও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বুধবার সেই মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন পুর ও পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। রাজ্যের তরফে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হল আর্থিক সাহায্য। নারদ কাণ্ডে সদ্য জামিন পেয়েছেন ফিরহাদ। আর তারপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে পৌঁছে গেলেন মালদহে মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে।
মন্ত্রীকে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত শ্রমিকের বাড়ির লোকেরা। ফিরহাদ জানান, 'মুখ্যমন্ত্রীর আদেশ অনুযায়ী আমি এসেছি। এর আগেও মালদহে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমাকে পাঠানো হয়েছে। এবার এই পরিবারের কাছে এলাম। কাশীতে কাজ করে ঘুমনোর সময় ছাদ ভেঙে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন এঁরা। এঁরা বাংলার ছেলে।
তাই মুখ্যমন্ত্রী পাশে দাঁড়িয়েছেন। শুধু আর্থিক দিক থেকে নয়, এই কঠিন সময় মানসিক দিক থেকেও তাঁদের পাশে থাকা জরুরি। আহতদের চিকিত্সার দায়িত্বও নেওয়া হচ্ছে।' মাত্র তিন সপ্তাহ আগে পেটের দায়ে উত্তরপ্রদেশ গিয়েছিলেন মালদহের কয়েকজন শ্রমিক। মোট ১২ জন শ্রমিক মন্দির নির্মাণের কাজ করতে পাড়ি দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের বারাণসী জেলার বাসাসামিত এলাকায়।
ভেবেছিলেন রোজগার বাড়লে সংসারের হাল ফিরবে। কিন্তু ভিনরাজ্যে যাওয়াই কাল হয়। ছাদ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল ২ শ্রমিকের। মৃত শ্রমিকদের নাম আমিরুল মোমিন (৪০) এবং এবাদুল মোমিন (৩০)। বাড়ি কালিয়াচকের আলিপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শেরশাহি গ্রামে। সেখানেই আজ যান ফিরহাদ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুর্ঘটনায় আহতদের কাশির কবিচূঁড়া হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
আহতরা কলিমুদ্দিন মোমিন, আরিফ মোমিন, ইমরান মোমিন, সায়েদ আখতার, আরিফ মোমিন (ছোট), হাকিম মোমিন। এঁদের প্রত্যেকের বাড়ি শেরশাহি এলাকায়। মঙ্গলবার সন্ধেয় মৃতদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকদের সমবেদনা জানান রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নূর। এদিন ফের তিনি সেখানে পৌঁছে যান পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে।