এই বিশেষ খাবারগুলি রাখুন সঙ্গে শরীরে প্রোটিন জোগাতে

এই বিশেষ খাবারগুলি রাখুন সঙ্গে শরীরে প্রোটিন জোগাতে

আজবাংলা   ঘর বাইরের নানা কাজ সামলে নিশ্বাস ফেলার অবসর মেলা মুশকিল হয়ে আসছে ক্রমশ। তার মধ্যে যদি দিনের মাঝেই ঝিমুনি আসে, থেকে থেকেই হাই ওঠে, তা হলে তো উৎপাদন ক্ষমতা কমবেই। এই পরিস্থিতি থেকে বেরোতে চাইলে আপনাকে সাহায্য করবে এমন কিছু খাবারের কথা জানাচ্ছি।

এর কোনওটিই অবশ্য প্রক্রিয়াজাত বা প্যাকেটবন্দি নয়, বরং আপনার রান্নাঘরেই মিলবে। তার চেয়েও বড়ো কথা হচ্ছে, খেতেও দুর্দান্ত! হাতের কাছে অন্তত দু’টি থাকলেই আপনি সারা দিনের জন্য নিশ্চিন্ত থাকবেন।


1. ওটমিল-  রোলড বা হোল ওটস থেকে আপনি যে এনার্জিটা পান, সেটা দীর্ঘক্ষণ চাঙ্গা থাকতে সাহায্য করবে। ওটসে বিটা-গ্লুকান নামের একটি সলিউবল ফাইবার থাকে যা জলের সঙ্গে মিশে যখন রান্না হয়, তখন গাঢ় একটি জেল তৈরি করে। এই জেল আপনার পাচনতন্ত্রে অনেকক্ষণ থাকে, ফলে পেট বেশিক্ষণ ভরা আছে বলে মনে হয়। তার সঙ্গে এর ভিটামিন আর খনিজ এনার্জি জোগায়।

2. কলা- কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম আর ভিটামিন বি সিক্সের আধার হচ্ছে কলা। খুব দ্রুত তা আপনার এনার্জি বাড়াতে সমর্থ। দেখবেন, অধিকাংশ টেনিস খেলোয়াড়ই লম্বা ম্যাচের মাঝের বিরতিতে এনার্জি পাওয়ার জন্য কলা খেতে পছন্দ করেন। সিন্থেটিক এনার্জি ড্রিঙ্কের চেয়ে তা শতগুণে ভালো। দুধ আর কলা দিয়ে মিল্কশেক তৈরি করে নিতে পারলে তো কথাই নেই, শরীরের পাশাপাশি ত্বকও ভালো হবে।

3. বাদাম- এনার্জি বাড়াতে কাজুবাদাম, আখরোট আর আমন্ডের কোনও বিকল্প নেই। ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড আর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই বাদাম থেকে কার্বোহাইড্রেট আর ফাইবারও মেলে যথেষ্ট পরিমাণে। তাই এনার্জি সংরক্ষণ করার কাজে বাদামের ভূমিকা অপরিসীম।

4. লাল চালের ভাত-  লাল চালের ভাতে চালের পুষ্টিগুণের বেশিরভাগটাই সঞ্চিত থাকে। তার ফাইবার, প্রোটিন আর খনিজ খুব তাড়াতাড়ি প্রচুর এনার্জি উৎপাদনে সাহায্য করে। বাড়তি ফাইবারের কারণে নিয়ন্ত্রণে থাকে আপনার রক্তের শর্করার পরিমাণও।

5. আপেল-  একটি মাঝারি আকারের আপেলে 25 গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে, থাকে আন্দাজ 20 গ্রাম চিনি আর 5 গ্রামমতো ফাইবার। এই ফাইবার আর প্রাকৃতিক সুগারের কারণেই আপনি যে এনার্জিটা পাবেন, তা অনেকক্ষণ থাকবে শরীরে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখবেন, আপেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টও মেলে।