মাত্রাতিরিক্ত রাগে মাথা ঠান্ডা রাখার ৫ টোটকা

মাত্রাতিরিক্ত রাগে মাথা ঠান্ডা রাখার ৫ টোটকা

কথায় কথায় রেগে যান? রাগের মাথায় প্রিয়জনকে খারাপ কথা বলায় হয়েছে বন্ধুবিচ্ছেদও? তা হলে এ বার একটু সতর্ক হোন। মাত্রাতিরিক্ত রাগে শুধু সম্পর্ক নয়, খারাপ হয় শরীরও। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেনে চলতে পারেন কিছু টোটকা। 

 স্পষ্ট কথায় কষ্ট নেই  অন্যের নিন্দা বা সমালোচনা না করে নিজের পছন্দ-অপছন্দ পরিষ্কার করে জানান। যদি কাছের কোনও মানুষের উপর রাগ হয়, তবে তাঁকে খুলে বলুন আপনার মানসিক টানাপড়েনের কথা। রাগ পুষে রাখবেন না। ক্ষমা করতে শিখুন। সবাই সব সময়ে আপনার মতোই ভাববে, এতটা আশা করাও ঠিক নয়।

সহ্যের মাত্রা   কোন পরিস্থিতিতে গিয়ে হঠাৎ রেগে যাচ্ছেন, তা বোঝার চেষ্টা করুন। মনোবিদদের ভাষায়, এই জায়গাগুলিকে বলা হয় ‘ট্রিগার পয়েন্ট’। কোনও কোনও বিষয় সহ্য করা সম্ভব হয় না। তেমন পরিস্থিতিতে পৌঁছলে সহ্যের সীমা ছাড়ায়। রাগ হয়। এই ‘ট্রিগার পয়েন্ট’ পর্যন্ত যাতে না পৌঁছতে হয়, তাই কিছু পরিস্থিতি এড়িয়ে চলুন।

 লিখে রাখুন  এক বার মেজাজ খারাপ হয়ে গেলে অনেকেই দীর্ঘ ক্ষণ অন্য কোনও কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন না। এমন সমস্যায় নিজের মনের কথা লিখে রাখা অভ্যাস করতে পারেন। রাগ-দুঃখ-অভিমান নিয়ম করে ডায়েরিতে লিখে রাখলে নিজের মন বুঝে ওঠা সহজ হয়।

 আশ্রয় নিন হাসি-ঠাট্টার   মানসিক চাপ কমাতে হাসি-ঠাট্টার জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত দেখতে পারেন, হাসির ছবি থেকে ব্যাঙ্গাত্মক টেলিভিশন শো। পড়তে পারেন হাসির গল্পের বই। তবে অনেকে মজা করতে গিয়ে মাত্রা হারিয়ে ফেলেন। খেয়াল রাখবেন, নিজের চাপ বা রাগ কমাতে গিয়ে অন্যের অনুভূতিকে আঘাত করে ব্যঙ্গ না করাই বাঞ্ছনীয়।

 বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন প্রয়োজন হলে সাহায্য নিন মনোবিদের। যদি কোনও ভাবেই আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণে না আসে, তা হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। অনেক সময়ে হরমোন কিংবা স্নায়ুর সমস্যা থেকেও হতে পারে মাত্রাতিরিক্ত রাগ।