ভ্রমণ বিমা | বেড়াতে গেলে সঙ্গে বিমা রাখুন ভ্রমণ বিমা

ভ্রমণ প্রত্যেকের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং নিয়মিত ঘটনা। নতুন গন্তব্যে ভ্রমণের সময় সর্বদা আনন্দ, উত্তেজনা এবং দু: সাহসিক কাজ নিয়ে আসে। তবে নতুন জায়গাগুলি সন্ধানের জন্য আপনার এমন একটি সহায়তা সিস্টেমের প্রয়োজন হতে পারে যা আপনাকে অপ্রত্যাশিত জরুরী অবস্থা থেকে রক্ষা দেয় যেমন ব্যাগেজ হ্রাস, ভ্রমণের বিলম্ব বা এমনকি কোনও চিকিত্সা জরুরি অবস্থা ইত্যাদি Henceবীমা'অনেক বিষয়! ভ্রমণ বীমা সম্পর্কে কথা বলার সময়, আসুন ভ্রমণের মতো ধরণেরগুলির উপর গভীরতর নজর দেওয়া যাক।
বিমানে চড়ে বেড়াতে যাবেন কিন্তু বিমা নেবেন না, এটা তো হয় না। আপনি খেয়াল করে দেখুন, যে ভাবেই ভ্রমণ করুন না কেন, কিছু না কিছু বিমা কিন্তু আপনার সঙ্গেই ঘোরে। আজকে আমরা দেখে নিই, বিমানে চড়লে কী ভাবে বিমা কিনব। কী জাতীয় বিমাই বা আমি কিনতে পারি। বাজারে বিমা সংস্থাগুলি নানান বিমা বিক্রি করে থাকে আপনার প্রয়োজন মেটাতে। কিন্তু যে ভাবেই তা বিক্রি হোক, ভ্রমণের জন্য মোটামুটি ৮ রকম ঝুঁকি সামলাতে বিমা বিক্রি হয়ে থাকে। জেনে নেওয়া যাক সেই ঝুঁকিগুলো কী।
স্বাস্থ্য বিমা
বেড়াতে গিয়ে বিশেষ করে বিদেশে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে যা খরচ তা সামলানো সহজ কথা নয়। এই বিমা না থাকলে ভিসাও মেলে না। এই বিমা সাধারণ ভাবে ক্যাশলেসই হয়ে থাকে।
দুর্ঘটনা
স্যুটকেস যদি দেরিতে পৌঁছয়, তখন তো জামা-কাপড় কেনা ছাড়া উপায় থাকবে না আপনার। তাই এই ঝুঁকি সামলাতেও বিমা কেনা যায়। স্যুটকেস হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি সামলাতেও কেনা যায় বিমা। পাসপোর্ট হারালে আপতকালীন পাসপোর্ট করাতে হয়। তারও খরচ আছে। বিদেশের মাটিতে সে খরচ কিন্তু কম নয়। তাই ভ্রমণ বিমায় এই ঝুঁকি সামলানোও জরুরি। আপনার বিমান কোনও কারণে দেরি করল। তাতে হয়ত আপনি ভাঙা যাত্রায় পরের বিমানটি ধরতে পারলেন না। সেই ঝুঁকি সামলানোর জন্যও কিন্তু বিমা কিনতে পারেন। বিদেশে গিয়ে কোনও ঝামেলায় আপনাকে দেশে ফেরাতে বিশেষ ব্যবস্থা করতে হতে পারে। তারও খরচ আছে। যেমন ভুগেছেন লকডাউনে আটকে যাওয়া অনেক যাত্রী। এই ঝুঁকি সামলানোর বিমাও পাওয়া যায়। বেড়াতে গিয়ে মৃত্যু এবং দেহ ফেরানোর ঝুঁকি সামলানোর বিমাও আছে।
ছাত্র ভ্রমণ বীমা
এটাব্যাপক বীমা বিদেশী শিক্ষার্থী থাকাকালীন ব্যাগেজ, দুর্ঘটনা ইত্যাদির ক্ষয়ক্ষতি ইত্যাদির জন্য কভার সরবরাহ করে এমন নীতিপ্রবীণ নাগরিক বীমা, দীর্ঘকালীন বীমা, গ্রুপ ভ্রমণ নীতি, ফ্লাইট বীমা, ক্রুজ ভ্রমণ বীমা অন্যান্য ধরণের ভ্রমণ বীমা। এই প্রতিটি প্রকারের আরও বীমা সরবরাহকারীর উপর নির্ভর করে রৌপ্য, সোনার এবং প্ল্যাটিনামে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও, এই শ্রেণিবদ্ধকরণগুলি উপর ভিত্তি করেপ্রিমিয়াম হার এবং কভারেজ অফার।
এই সব বিমা একই সঙ্গে বা আলাদা কেনার ব্যবস্থা আছে। বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন ভাবে এই সব বিমা বিক্রি করে থাকে। বেড়াতে যাওয়ার আগে তাই প্রয়োজন মতো বিমা কিনে ভ্রমণ করাই ভাল। তাতে আর্থিক ঝুঁকি কমে। বিমা কেনার আগে অবশ্যই দেখে নেবেন শর্তগুলি। বিদেশে যেতে হলে দেশের ভিতরেও বিমান পরিবর্তন করতে হতে পারে। দেখে নিন আপনার বিমার শর্ত দেশের ভিতর ভ্রমণের ঝুঁকিও সামলাচ্ছে কি না।
এমনিতে বিমা কেনার ব্যাপারে বা বিমা নিয়ে জানার ব্যাপারে আগ্রহের অঙ্কে আমরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বহু পিছনে। তার মধ্যে আবার ভ্রমণের আগে বিমা কেনা নিয়ে আমাদের আগ্রহ তলানিতে। তাতে যে কী ঝামেলা হয় তা লকডাউনের সময়েই বোঝা গিয়েছে। বিদেশে গিয়ে আটকে পড়ে দেশে ফিরতে অনেকেরই প্রায় ঘটি-বাটি বেচার অবস্থা! তার উপর রয়েছে দেশের বিমার বাজারে ভ্রমণ সংক্রান্ত কোনও সাধারণ বিমার অভাব। বিভিন্ন সংস্থা নানান ভাবে ভ্রমণ বিমা বিক্রি করে। সাধারণ মানুষ কোনটা কিনবে তা বুঝেই উঠতে পারে না।
এই সমস্যা সামলাতে বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে সব বিমা সংস্থাকে বলেছে বিমার শর্তকে সহজ করে লিখে বিক্রি করতে। এই বিমার জন্য কোনও ন্যূনতম বয়স থাকবে না। তবে যিনি কিনবেন তাঁর বয়স যেন অন্তত ১৮ হয়। ৫ রকম ভ্রমণের জন্য এই বিমা কেনা যাবে।
১) শহরের মধ্যে যে কোনও গণপরিবহণে ভ্রমণের জন্য।
২) শহরের বাইরে যাওয়ার জন্য যে কোনও গণপরিবহণে ভ্রমণ।
৩) ট্রেন ভ্রমণ।
৪) দেশের ভিতরে জল-পথ, স্থল, বায়ু আর ট্রেন।
আবার বিদেশ ভ্রমণের জন্য আরও চারটে ভাগ।
১) স্বল্পমেয়াদী ভ্রমণ (জল, স্থল, ট্রেন এবং বিমান একই বিমায়)।
২) দীর্ঘমেয়াদী ভ্রমণ (ছাত্রদের জন্য)।
৩) বিমার মেয়াদ কালে একাধিক ভ্রমণ (যেমন প্রয়োজন হয় ব্যবসার কাজে)।
৪) শুধুই যাতায়াতে ঝুঁকির বিমা।
এই বিমা পরিবারের জন্য বা একক যাত্রীর জন্য বিক্রি হবে। দামের ক্ষেত্রে দেশের কোন অঞ্চল থেকে যাত্রা শুরু হচ্ছে তার ভিত্তিতে কোনও ফারাক থাকবে না। সব সংস্থাকেই সাধারণ ভ্রমণ বিমার দাম এক রাখতে হবে এবং শর্ত এমন ভাবে লিখতে হবে যাতে সাধারণের বুঝতে অসুবিধা না হয়।বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার যুক্তি এত দিন পর্যন্ত বিমা সংস্থাগুলি যে বিমা করত তাতে সাধারণের চাহিদা মিটত না। তাই নির্দিষ্ট এই শ্রেণি বিভাগের জন্য সাধারণ মানুষ তাঁদের ভ্রমণের চাহিদা অনুযায়ী বিমা কিনতে পারবেন। এবং যেহেতু সব সংস্থাই একই সাধারণ ভ্রমণ বিমা বিক্রি করবে একই দামে, যাত্রীদের আর অন্তত সাধারণ ভ্রমণ বিমার জন্য কোন সংস্থা কী জাতীয় বিমা বিক্রি করছে তার যাচাইয়ের ঝামেলায় যেতে হবে না।
- ভ্রমণ বীমা নীতি:
- কভারকয়েকটি সাধারণ কভারগুলি নিম্নরূপ:
- পাসপোর্ট হারিয়েছেলাগেজ,
- ভ্রমণের কাগজপত্র ইত্যাদির ক্ষতি
- বিলম্বিত বা ভ্রমণে মিস হয়েছে
- ফ্লাইট সম্পর্কিত দুর্ঘটনা ইত্যাদি
- ড্রাইভিং লাইসেন্স হ্রাস
- মেডিকেল জরুরী অবস্থা যেমন দুর্ঘটনা বা অসুস্থতা।
- ছিনতাইয়ের ক্ষেত্রে ত্রাণ সুবিধাজরুরী দাঁতের সহায়তা
- প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ক্যাশলেস হাসপাতালে ভর্তি
- এগুলি ভ্রমণের নীতিতে কিছু সাধারণ ব্যতিক্রম-
- 24 ঘন্টা কমের জন্য ব্যাগেজ বিলম্ব
- চাবি হ্রাস
- স্থানীয় প্রতিবাদ বা গৃহযুদ্ধের ক্ষেত্রে ফ্লাইট বা ট্রেন মিস হয়েছে
- প্রাক-বিদ্যমান রোগের কোনও প্রচ্ছদ নেইস্ব-ক্ষতিযুক্ত আঘাত
- অ্যালকোহল বা মাদকাসক্তি আসক্তি
- পাবলিক প্লেসে পাসপোর্ট হারাতে হবে
অনলাইন ভ্রমণ বীমা
যারা বিদেশ ভ্রমণ করার পরিকল্পনা করছেন তাদের একটি ভাল অনলাইন ভ্রমণ বীমা কভার পেতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রিমিয়াম প্রদান করতে হবে। যেহেতু এই প্রিমিয়ামটি অনেকগুলি কারণ দ্বারা নির্ধারিত হয়, তাই ভ্রমণকারীদের ভ্রমণের জন্য অনলাইন বীমা প্রিমিয়ামের গণনায় জড়িত কারণগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। কিছু কারণগুলি প্রিমিয়াম বাড়িয়ে তুলতে পারে, অন্যরা প্রিমিয়াম হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে। যদি কোনও ব্যক্তি কোনও নতুন ভ্রমণ নীতি কিনতে চাইছেন বা বিদ্যমানটি পুনর্নবীকরণ করতে চান তবে তারা অনলাইন পরিষেবার বিকল্পটি পেতে পারেন। অনলাইনে ভ্রমণ নীতি ক্রয়ের সময় গ্রাহকদের তাদের ভ্রমণের বিশদ যেমন ভ্রমণ এবং তার গন্তব্য, তাদের ব্যক্তিগত বিবরণ, detailsাকতে হবে যে তারা পছন্দ করতে চান এবং তারপরে অনলাইনে অর্থ প্রদান করতে হবে। পরে গ্রাহকগণ বীমাকারীর কাছ থেকে জারি করা পলিসি পাবেন।