ধান ও গমের গাছ পোড়ানোর সতর্কতা অনেক মাঠেই পৌঁছায় নি এখনও

ধান ও গমের গাছ পোড়ানোর সতর্কতা অনেক মাঠেই পৌঁছায় নি এখনও

সতর্কতা মূলক বার্তা হয়তো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বাণী হয়েই রয়ে যায়। যেমন "মাস্ক পড়ুন সুরক্ষিত থাকুন" প্রতি দোকান সংস্থা সরকারি অফিস আদালতে দেওয়ালে অথচ কর্তৃপক্ষ নিজেরাই অনেকেই ব্যবহার করার ব্যাপারে উদাসীন। ঠিক তেমনই অনেক বিষয়ই সরকারি বিভিন্ন বিধি নিষেধ থাকে দেওয়ালেই বন্দী।

কৃষি জমিতে ফসল উঠে যাওয়ার পর, পরিবহন খরচ কমাতে এবং ভুল তথ্য জানার কারণে অনেকেই শুকনো গাছ পুড়িয়ে থাকেন জমিতেই। তাতে জমির মধ্যে থাকা কেঁচো এবং অন্যান্য ছোটখাটো কীটপতঙ্গর মৃত্যু ঘটে। অথচ তাদের মলমূত্র ত‍্যাগ, এবং বাসস্থান তৈরি করার ফলে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায় একথা বলছ বিজ্ঞান অপরদিকে বাস্তুতন্ত্রেরও ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে।

আর সেই কথাই কৃষকদের মাঠে গিয়ে বোঝানোর বদলে, শুধুমাত্র দেওয়ালে লিপিবদ্ধ হয়েই থাকছে। যা হয়তো  অনেক কৃষকই পড়তেও পারেন না। নদীয়ার বিভিন্ন প্রান্তে এইরকমই খন্ড চিত্র ধরা পড়েছে আমাদের ক্যামেরায়, কৃষকরা জানান পঞ্চায়েত সদস্যদ দূরে থাক পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মধক্ষ‍্যও কোনোদিন মাঠে এসে পৌঁছায়নি।

এ ব্যাপারে আমরা স্থানীয় বিভিন্ন ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসে গিয়েও ভিডিও আকারে বক্তব্য পাইনি। প্রকাশ্যে মুখ খুলতে না চাইলেও তবে তারা বলেন কৃষকদের নিয়ে মাঝেমধ্যেই মিটিংয়ে এ ধরনের সতর্কতামূলক বার্তা দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, মাটি এবং পরিবেশের কথা মাথায় রেখে বিপুল পরিমাণে ধোঁয়া যুক্তআগুন যে ক্ষতিকারক তা মাঠে গিয়ে সাবধান করবে কে?