অলিম্পিকে মহিলা হকি দল সারা দেশকে গর্বিত করেছে , বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

অলিম্পিকে মহিলা হকি দল সারা দেশকে গর্বিত করেছে , বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

 ভারতীয় মহিলা হকি দল সারা দেশকে সোনার পদকের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। জানা ছিল আর্জেন্টিনা ধারেভারে অনেক এগিয়ে। সেতো ভারতের থেকে অস্ট্রেলিয়ার মহিলা হকি দল এগিয়েছিল। কিন্তু সেদিন অসাধ্য সাধন করতে পারলেও, আজ পারেননি শর্মিলা, বন্দনা, মনিকা, সালিমা, সবিতারা। লড়াই করেও আর্জেন্টিনার কাছে হারতে হল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খেলা দেখেছেন। ম্যাচের পর দলের অধিনায়ক রানী রামপালকে ফোন করেন, কথা হয় অনেকক্ষণ।

প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় দলের অধিনায়ককে জানিয়েছেন এমন লড়াই দেশবাসীকে গর্বিত করেছে। মেয়েদের কাছে মহিলা হকি দলের লড়াই শিক্ষনীয়। কথা বলেন কোচ সর্দ ম্যারিনের সঙ্গে। ডাচ কোচকে তিনি জানান ভারতীয় মহিলা তাঁর অধীনে দুরন্ত লড়াই উপহার দিয়েছে। জয় এবং পরাজয় হতেই থাকবে। কিন্তু ইতিহাসের প্রথম ভারতীয় মহিলা হকি দল যে কাজ করে দেখিয়েছে তা উদাহরণ হিসেবে থেকে যাবে। এখান থেকে পিছনে না তাকিয়ে সামনের দিকে তাকানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

ভারত একদিন পরেই গ্রেট ব্রিটেনের বিরুদ্ধে ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচ খেলবে। জিততে পারলে সেটাও কম গর্বের নয়। পুল পর্যায় ব্রিটেনের বিরুদ্ধে মেয়েরা হেরেছিল ১-৪ ব্যবধানে। তবে পদক জয়ের ম্যাচে লড়াইটা এত একপেশে হবে না। রানী রামপাল কথা দিয়েছেন ওই ম্যাচে পদক নিয়ে দেশে ফেরার জন্য তাঁরা প্রত্যেকে নিজেদের উজাড় করে দেবেন। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে মেয়েদের রেকর্ড খুবই খারাপ ছিল। আর্জেন্টিনা সফরে কয়েক মাস আগে গিয়েছিল মহিলা দল।

সেখানে দুটি হার এবং একটি ম্যাচ ড্র করতে পেরেছিল তাঁরা। কিন্তু সেই ম্যাচ আর অলিম্পিকের মধ্যে বিস্তর ফারাক। গোলরক্ষক সবিতা থেকে শুরু করে মাঝমাঠের সিয়ামি, গুরজিত, শর্মিলা, বন্দনা এবং অধিনায়ক রানী রামপালদের হকি জীবনে এটাই ছিল সবচেয়ে হাইপ্রোফাইল ম্যাচ। জিতলে রুপোর পদক নিশ্চিত ছিল। কোচ সর্ড ম্যারিন জানতেন এতদূর এসে খালি হাতে ফিরতে হলে পরিশ্রম বৃথা। তাই আর্জেন্টিনার মতো শক্তিশালী দলকে হারাতে হলে ডিফেন্সিভ মানসিকতায় খেলা সম্ভব না জানতেন ভারতীয় কোচ। আর প্রতিপক্ষ যাতে মিডফিল্ড দখল নিতে না পারে সেটাও ছিল ভারতের স্ট্র্যাটেজি। এখন দেখার প্রধানমন্ত্রীর মোটিভেশন কাজে লাগে কিনা।